বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রায় ২০ মিনিট তিনি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।

[৩] নিজস্ব বিমানে গৌতম আদানি বাংলাদেশে আসেন।  দুপুর ১টায় তিনি ভারতে ফিরে যান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি আদানি গ্রুপের বাংলাদেশে কর্মরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিমানবন্দরে বৈঠক করেন। 

[৪] পরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি জানান টুইটারে। ২টি ছবি পোস্ট দিয়ে তিনি জানান, ১৬০০ মেগাওয়াট গুড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টের সম্পন্ন কাজ সম্পন্ন হওয়ায় এই প্ল্যান্টটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করলাম। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে সম্মানিত বোধ করছি। সেই সঙ্গে অভিনন্দন জানাচ্ছি বাংলাদেশ ও ভারতের নিবেদিত প্রাণ সাহসি কর্মিদের যারা কোভিডের মধ্যেও মাত্র সাড়ে তিন বছরে প্ল্যান্টটির কাজ শেষ করতে পেরেছে। 

৫] এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমি অসুস্থ। তবে গৌতম আদানির আসার কথা রয়েছে বলে জানি। 

[৬] বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান জানান, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। জ্বালানি সচিবের একান্ত সচিব জানান, আদানির বাংলাদেশে আসার বিষয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। 

[৭] উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথম বাংলাদেশ সফরের ২ মাসের মাথায় ১১ আগস্ট আদানি পাওয়ারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে পিডিবি। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের ভেতরেই একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র করার প্রস্তাব ছিল আদানির। কিন্তু সমঝোতার ২ বছর পর ২০১৭ সালে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি হয়। এরপরে একটি সঞ্চালন লাইনও তৈরী করে আদানি গ্রুপ।  গত ৯ মার্চ  থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ পাঠায় বাংলাদেশে। জুনের ২৫ তারিখ থেকে পুরোমাত্রায় বিদ্যুৎ পাঠাচ্ছে।  

[৮] আদানি পাওয়ারপ্ল্যান্ট থেকে  ২৫ বছর যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, বাংলাদেশ থেকে তার পুরোটাই কেনার শর্তহীন ও অপরিবর্তনীয় নিশ্চয়তা পেয়েই প্রায় ১৪ হাজার ৮১৬ কোটি ভারতীয় রুপি ব্যয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে আদানি পাওয়ার। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব